Saturday 22 February 2014

কোকা-কোলার ২০টি ব্যতিক্রমী ব্যবহার


কোকা-কোলার ২০টি ব্যতিক্রমী ব্যবহার, যা দেখার পর এই পানীয় পান করতে ভয় পাবেন আপনি....

কোকা-কোলা

 হ্যালোটুডে ডেস্ক :আচ্ছা একটা ব্যাপার চিন্তা করুন তো, আপনার মাউথওয়াশ তরলটির গন্ধ তো অনেক সুন্দর, এর মাঝে যদি কেউ চিনি মিশিয়ে দিয়ে আপনাকে বলে “এটা অনেক সুস্বাদু!” তাহলে আপনি কি সেটা পান করবেন? অবশ্যই না, কারণ সেটা তো কেমিক্যাল! তাহলে আপনি কোকা-কোলা খাচ্ছেন কেন? সেটাও তো কেমিক্যাল!

যারা জানেন যে কোকা-কোলা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং এর থেকে দূরে থাকছেন, তারা আরও নতুন কিছু জেনে নিতে পারেন এই পানীয়টি সম্পর্কে। আর যারা একে মজা করে খেয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত, তাদের জন্য তো এসব জেনে রাখা খুবই জরুরী। বিশ্বখ্যাত এই পানীয়টি মানব দেহের জন্য মারাত্মক। এর অ্যাসিডিটির পরিমাণ মোটামুটি গাড়ির ব্যাটারির কাছাকাছি। হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, শরীরের হাড় নরম করে ফেলে, পাকস্থলীর টিস্যু হজম করে ফেলে আর সেই সাথে রয়েছে ক্যান্সারের সম্ভাবনা। আর একে ব্যবহার করে করা যায় এমন অদ্ভুত সব কাজ, যা জানতে পারলে সারা জীবনে যত কোকা-কোলা খেয়েছেন সব উগড়ে দিতে ইচ্ছে হবে আপনার! কী সেই কাজ, যাতে ব্যবহার করা যেতে পারে কোকা-কোলা?
১. কাপড় থেকে তেলের দাগ উঠিয়ে ফেলে২. মরিচা দূর করতে পারে, মরচে পড়ে শক্ত হয়ে এঁটে থাকা নাট-বল্টু ঢিলা করে দেয়৩. কাপড় থেকে রক্তের দাগ উঠিয়ে ফেলতে পারে৪. মেঝে থেকে তেলের দাগ উঠিয়ে ফেলতে পারে৫. এর মাঝে থাকা অ্যাসিড মেরে ফেলতে পারে বাগানে উপদ্রব করা শামুক জাতীয় প্রাণী৬. পুড়ে যাওয়া হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া দাগ উঠিয়ে ফেলতে পারে৭. চায়ের কেটলি থেকে পুরনো দাগ তুলে ফেলতে পারে৮. গাড়ির ব্যাটারির টার্মিনালে পড়া শক্ত ময়লা তুলে ফেলতে পারে৯. গাড়ির এঞ্জিন পরিষ্কার করে১০. পুরনো কয়েন চকচকে করে ফেলে১১. টাইলসের মাঝে পড়ে যাওয়া ময়লা উঠিয়ে ফেলে১২. মানুষের দাঁত গলিয়ে ফেলতে পারে!১৩. চুল থেকে চুইং গাম তুলে ফেলতে পারে১৪. চিনামাটির বাসনপত্র থেকে দাগ তুলে ফেলতে পারে১৫. ময়লা সুইমিং পুলের পানিতে কয়েক লিটার কোকা-কোলা ঢেলে দিলে পানিতে পরে থাকা লালচে স্তর দূর হয়ে যাবে১৬. ডায়েট কোলা ব্যবহার করে চুলের ডাই তুলে ফেলা যায় অথবা হালকা করে ফেলা যায়১৭. কার্পেটের থেকে মার্কারের দাগ উঠিয়ে ফেলতে পারে।১৮. টয়লেট পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত হতে পারে!১৯. কোক আর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করে ক্রোমিয়ামের জিনিসপত্র অনেক উজ্জ্বল করে ফেলা যায়২০. ধাতব আসবাবপত্র থেকে রঙ উঠিয়ে ফেলতে পারেচিন্তা করুন, কোকা-কোলা ব্যবহার করা যেতে পারে কাপড় পরিষ্কার করার ডিটারজেন্টের মতো, মরচে তোলার তার্পিনের মতো, ডিশওয়াশিং লিকুইডের মতো এমনকি বাথরুম পরিষ্কারের হারপিকের মতো! তো এসব রাসায়নিকের সাথে তুলনা করা যায় যে পানীয়কে, তা খাওয়া কি আসলে শরীরের জন্য ভালো? ভালোর কথা বাদ দিন, এটা শরীরের জন্য কতো খারাপ ভাবুন তো! ের পরেও কি আপনি কোকা-কোলা খেতেই থাকবেন?

Monday 3 February 2014

বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা হয়রানির দিন শেষ

Pass Port
Indian Flag
বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা হয়রানির দিন শেষ: হাইকমিশনে আর লাইন দিতে হবে না.  ভারতে যেতে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা হয়রানির দিন শেষ হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই। বুধবার ভারতের পরিকল্পনা কমিশন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অন-অ্যারাইভাল (আগমন মাত্রই) ভিসা চালু করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সীমান্ত কিংবা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকেই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি মিলবে।প্রায় ১৮০টি দেশের পর্যটকদের জন্য নয়া ভিসা পদ্ধতি চালু করতে ভারত এ বৈঠক ডেকেছে। বাংলাদেশও এ সুবিধা পাবে। যদিও নিরাপত্তা বিবেচনায় পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের এ সুবিধা দিচ্ছে না তারা। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যবস্থাতে সম্মতি দিয়েছে।
বর্তমানে ভারতে ‘ইমিগ্রেশন ভিসা, ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন ও ট্র্যাকিং (আইভার্ট)’ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ভারতে ভ্রমণে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের নিজেদের দেশের ভারতীয় দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। যদিও এরআগে গত অক্টোবর মাসে যেকোনো দেশের ষাটোর্ধ্ব বয়সী ভ্রমণকারী ভারতীয় বিমানবন্দরে নামার পর ভিসা (ভিসা অন অ্যারাইভাল) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশন।
President Zillur Rahman
Begum Khaleda Zia
বাংলাদেশসহ ১৮০ দেশের নাগরিকদের ভারতে ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা পেতে হলে ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সে আবেদনের ভিত্তিতেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনলাইনে একটি রশিদ দেবে। এই রশিদ থাকলে ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে পাসপোর্টে ভিসার স্ট্যাম্প লাগাতে হবে না। রশিদের প্রিন্ট কপি দেখালে বিদেশি পর্যটকদের ভারতের বিমানবন্দরেই ভিসা দেওয়া হবে।

ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড ও জাপানসহ বর্তমানে এগারোটি দেশের ক্ষেত্রে ভারতে এ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসব দেশ থেকে ২০১৩ সালে মাত্র ১৮ হাজার পর্যটক ভারত সফর করেছে। অথচ তুলনামূলকভাবে বেশি পর্যটক সফর করেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া থেকে। পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পরই তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে গত বছর পর্যটক হিসেবে ভারত সফর করেন প্রায় সাড়ে সাত লাখ।

এ ব্যবস্থা অনুযায়ী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ৮০ শতাংশ দূতাবাস, ভারতের প্রধান শহরের হোটেলগুলোর যোগাযোগ তৈরি করা হয়েছে। ফলে কোনো পর্যটকের হদিস পেতে অসুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ব্যবস্থা চালু হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ভারতে বিদেশি মুদ্রার আয় বাড়বে বহুগুণ।

প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন। ২০১২ সালে ভারতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৫ লাখ। তবে এ সংখ্যা থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার তুলনায় প্রায় এক-চতুর্থাংশ।

Saturday 1 February 2014

টুইট বিতর্কে সচিনের মেয়ে সারা তেন্ডুলকর

টুইট বিতর্কে সচিনের মেয়ে সারা তেন্ডুলকর
Sara Tendulkar 19

Sara Tendulkar

 নিজেদের ব্যক্তিগত মতামত, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এখন ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ককেই বেশি ব্যবহার করে থাকেন বিভিন্ন জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিরা। আবার এই সোশ্যাল সাইটগুলোর
দৌলতেই মাঝে মাঝে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে হয় তাঁদের। কখনও ভুঁয়ো টুইট অ্যাকাউন্ট খুলে সেলিব্রিটিদের নাম করে টুইট করা হয়, কখনও আসল অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে বিতর্কিত টুইট করা হয়। টুইট-বিতর্কের সর্বশেষ শিকারের নাম সচিন তেন্ডুলকর। বা বলা ভাল তাঁর মেয়ে সারা তেন্ডুলকর। গত কয়েক দিন সারার নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে “নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবেন” জাতীয় টুইট করা হতে থাকে। যা নিয়ে নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। বিভিন্ন সর্বভারতীয় চ্যানেলে ‘সারা’র টুইট তুলে ধরা হয়। সোশ্যাল সাইটগুলোতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত শনিবার নিজের সরকারি ফেসবুক মারফত সচিন জানিয়ে দেন, তাঁর মেয়ের কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই। ফেসবুকে সচিন পোস্ট করেন, “দয়া করে আমার দুই সন্তান সারা আর অর্জুনের নামে কোনও ভুঁয়ো টুইটার হ্যান্ডলকে বিশ্বাস করবেন না। ওরা টুইটারে নেই।” সচিন ফেসবুকে নিজে এই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার ক্ষমা চেয়ে নিল অপরাধী। সচিনকে উদ্দেশ্য করে একটি টুইট করা হয়। যেখানে লেখা হয়েছে, “সারার নামের টুইটার হ্যান্ডলটা তেন্ডুলকর পরিবারের এক ভক্তের তৈরি। আমি কখনওই আপনাকে আঘাত দিতে চাইনি। আপনি আমার কাছে ঈশ্বর।”

দ্বিতীয় দফায় ইজতেমায় ১৫১ জোড়া বর-কনের যৌতুকবিহীন গণবিবাহ

যৌতুকবিহীন গণবিবাহ
দ্বিতীয় দফায় ইজতেমায় ১৫১ জোড়া বর-কনের যৌতুকবিহীন গণবিবাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায় ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে বাদ আসর ইজতেমার মূলমঞ্চে কনের অভিভাবক ও বরের উপস্থিতিতে যৌতুকবিহীন গণবিবাহ পড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফার ইজতেমায় শনিবার ১৫১ জোড়া বর-কনের বিবাহ পড়ানো হয়।তাবলিগ জামাতের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, বিবাহ শেষে মঞ্চে খেজুর ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ইজতেমা শেষে বর ও কনের পিতা জামায়াতবন্দী হয়ে তিন চিল্লায় তাবলিগের কাজে বের হবেন।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের অনেকে আকস্মিক রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শনিবার ইবনে সিনা ও হামদর্দসহ ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মুসল্লিরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ইবনে সিনা ও হামদর্দ ক্যাম্পের সামনে সবচেয়ে বেশি দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে।
মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য ময়দানের আশপাশে ও মুন্নু নগর এলাকায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি পরিষদ, হোমিওপ্যাথি অনুশীলন, র‌্যাবর ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প, গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিস, হামদর্দ ওয়াক্ফ, ইবনে সিনা, ইন্টার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এপেক্স বাংলাদেশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম, পাকিজাগ্রুপ, টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন।
হোমিওপ্যাথিক অনুশীলন কেন্দ্রের চিকিৎসক মো. মাসুদ খান হ্যালোটুডে ডটকমকে জানান, এলোপ্যাথিক ছাড়াও মুসল্লিরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে তাদের ক্যাম্পে ভিড় করছেন। তাদের অধিকাংশই হলেন ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, আমাশয়, শ্বাসকষ্টের রোগী।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: ‘খুনীর পরিচয় আছে সাড়ে ৬ মিনিটের ফোনালাপে’

Shagor and Runi
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: ‘খুনীর পরিচয় আছে সাড়ে ৬ মিনিটের ফোনালাপে’

Global Multi Gossip Newsসাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি যে রাতে খুন হন, সে রাতে বাইরে থেকে কেউ তাদের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করার আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, ঘটনার পর রুনি সাড়ে ৬ মিনিট তার মোবাইল ফোন থেকে কথা বলেছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য অপরপ্রান্তের ব্যক্তিকে বলেছেন। এই সাড়ে ছয় মিনিটের কথপোকথনেই রয়েছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আসল কাহিনী। রয়েছে খুনিদের পরিচয়। তবে হত্যাকাণ্ডের পুরো রহস্য উদঘাটন করার প্রক্রিয়া এখনো চলছে বলে জানান কর্নেল জিয়াউল আহসান।সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি এখনো তদন্ত করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। ২০ মাস তদন্ত করেও র্যাব খুনিদের সনাক্ত করতে পারেনি। রহস্য উদঘাটনে সাগর-রুনির ব্যক্তিগত ব্যবহূত জিনিসপত্র ও তাদের বাসায় ব্যবহূত জিনিসপত্র বিদেশে নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। এমনকি বাসার রান্নাঘরের জানালায় যে গ্রিল কাটা ছিল তার নমুনাও পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও খুনিদের সনাক্ত করতে পারেনি র্যাব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাবের আরেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান মেঘ ঘটনার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার বাবা-মার হত্যা সম্পর্কে একটি তথ্য দিয়েছিল। এখন সেটিই সত্য হতে চলছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। মেঘের ওই বক্তব্যের রেকর্ড র্যাবের কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
র্যাবের ভাষ্যমতে, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের সুরক্ষিত অ্যাপার্টমেন্টে সাগর-রুনি খুন হন। সে সময় বাসায় ছিল শুধু তাদের একমাত্র শিশুপুত্র মেঘ। সংবাদ পেয়ে রুনির মা নুরুন নাহার মির্জা ও ভাই রোমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ভেতর থেকে বাসার দরজা মেঘই খুলে দিয়েছিল। সকাল ৭টা ২৫ মিনিট থেকে সাড়ে ৬ মিনিট রুনি তার মোবাইল ফোন থেকে কথা বলেছিলেন।
ঘটনার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, রুনি নিজেই তার মোবাইল ফোন দিয়ে তার নিকটতম একজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কললিস্টের তথ্য অনুযায়ী ওই কর্মকর্তা বলেন, রুনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেই মারা যান। রুনি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জীবিত ছিলেন বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এখনও সাংবাদিক সমাজ সাগরু-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে আসছে। ঘটনার পর সিআইডিসহ থানা পুলিশ আলামত সংগ্রহে ঘটনাস্থল সুরক্ষিত রাখতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ র্যাবের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক কনসালটেন্ট ও অভিজ্ঞ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, সাগর-রুনির হত্যার আলামত নষ্টের অভিযোগের তীর পুলিশের দিকেই যায়। বাংলাদেশের বাইরে কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রথমেই আলামত নষ্টের জন্য পুলিশকে অভিযুক্ত করা হতো। সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের পর আলামত সংগ্রহ ও হত্যার ঘটনাস্থল সংরক্ষণ করতে না পারায় খুনের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
ঘটনার পর শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। একদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপর ন্যস্ত করা হয়। দুই মাসেরও অধিক তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছর এপ্রিল মাসে হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে ন্যস্ত করা হয়। সুত্র:  ইত্তেফাক